অনেক হয়েছে রাত, বেঘোরে ঘুমুচ্ছে সবাই, শুধু জেগে আছি আমি, চাঁদ আর বাড়ির পাশের কুকুর। মাঝে মাঝে কেন এমন হয়, জানি না, কিছুই ভাল লাগে না, সঙ্গমেও বিরক্ত লাগে, রাত আসে রাত যায়, চোখ বোজে না, জোড় করে বোজালে ঠাস করে মেলে যায়, ঘরের ভিতরে নবরত্ন তৈল মেখে চিৎপাটাং হয়ে ঘুমোয় এক সময়ের রোমান্টিক প্রেমিকা আজকে ঘরের বউ। এত বদল হয় গঙ্গার জল…. এত বদল হয় শরীরের হাওয়া, বোঝায় বড় ভার।
রাগ নয়, মন খারাপ নয়, অভিমানও নয়, তবুও মন এলোমেলো, বাড়িটা আমার রেললাইনের পাশে, মাঝে মাঝেই মনে হয় এমন রাতে মাথাটা ঠাস করে বাড়ি দিই রেলগাড়ির সাথে, পরেক্ষনেই আক্ষেপ হয়, যে রেলগাড়ি নিজেই চলে গর্ভবতীর মতো করে, তার নিচে আবার আমার মাথা! নাহ সে থাক, আজ ভাল নেই বলে কালকেও যে ভাল থাকবো না তা তো নয়, এই ভেবে চাঁদ দেখি, চাঁদের আলো গায়ে মাখি, চাঁদ ডাক দিয়ে বলে আমার কাছে আয়, কিসের এত কষ্ট তোর, তোরে খাওয়াবো মধুভাত, শুনে ভাল লাগে, কিন্তু মধু খেলে তো আমার শরীরে উত্তেজনা বাড়ে। তারপর কি করবো, চাঁদনীকে ধরবো? তার সাথে তো পরিচয়ই হয়নি! ওমনি ঘেউ ঘেউ করে ওঠে পাগলা কুকুর, ভাবনা যাই ভুলে, কুত্তাটা বুঝলো না বিশেষ স্হানের অনুভূতি!
এবার ঘরের ভিতর ঢুকি আর বেরোই শব্দহীন, একসময় বৌয়ের মুখে তাকাই, তাকে বউ মনে হয় না, মনে হয় না কোনদিন তাকে কোথাও দেখেছি, বড়ই অচেনা মনে হয়, মনে হয় আমি যাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম, সেই ভালবাসার মৃত্যুর ভিতর এই বউটার জন্ম হয়েছে। হটাৎ ভয় হয়, ভয় পেয়ে ছাদে যাই, সেখানে দেখি মস্ত আকাশ। অনেকদিন হলো এই আকাশটিকেই ঠিক মতো দেখা হয় না, আজ সময় হয়েছে তাই দেখছি, দেখছি মেঘের খেলা, এক মেঘ আরেক মেঘের উপর লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে, চাঁদের আলোরও কমতি ছিল না, কমতি ছিল কেবল স্নায়ুর শ্রান্তির। ওদের খেলা দেখতে দেখতেই ভোর হলো, এরপর মনটি ভাল হলো না খারাপ তা আজও বুঝতে পারি না।
বাহ বেশ ভাল লেখেন তো আপনি! চমৎকার লাগলো।
বড় ধরনের কোন মানসিক আঘাত পেয়েছেন মনে হয়! হতাশা কেটে যাবে আশা করি। ভাল থাকুন।