যা দেখাচ্ছেন আমাদের ডিজিটাল সরকার!

এ কষ্ট আর সহ্য হয় না। মাঝে মাঝে প্রচন্ড রাগ লাগে, আবার অসহায় মনে হয় নিজেকে। দেশ নাকি অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে! বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে, জনগনের ইনকাম বাড়ছে, মানুষ সুখে শান্তিতে আছে!

বাস্তবতা হলো আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আর গরীবদের অবস্হার কোন উন্নতি হয় নি, দিন দিন এদেশে বসবাস কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। গভীর কষ্ট নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। মাত্র পাঁচ মিনিট আগে বিদ্যুৎ আসলো। দুপুর বারোটার পর থেকে ১ ঘন্টা পরপর বিদ্যুৎ যাচ্ছে। আমার বাসায় বাহিরে থেকে কোন বাতাস আসে না, আমার আইপিএস নাই, গরমে দরদর করে ঘামি, ঘাম শরীরে বসে এখন মাথা ব্যাথা করছে, মনে হচ্ছে ভয়ংকর রকম অসুস্হ পরিবেশে বাস করছি।

এ সমস্যা শুধু আজকের না, প্রতিদিনই তো এরকম হয়, বিদ্যুৎ কোনদিন বেশি যন্ত্রনা দেয় আবার কোনদিন কম। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে, আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে তখন একটু কম বিরক্ত করে, অবশ্য তখন বিদ্যুৎ না থাকলেও বেশি বিরক্ত হতাম না। কিন্তু তা তো হয় না, যখন গরম বেশি তখনই বিদ্যুতের সমস্যা বেশি।

ডিজিটাল সরকার বলে বিদ্যুতের উৎপাদন নাকি বাড়ছে! কিন্তু আমি তো কোন পার্থক্য দেখি না, বিএনপির সময়ও বিদ্যুৎ ঠিকমতো থাকতো না, তত্বাবধায়ক সরকারের সময় কষ্ট আরও বাড়লো, আর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বিদ্যুৎ না থাকার পরিমানও বাড়ছে। তাদের এই বাড়তি বিদ্যুৎ আমাদের মধ্যবিত্তদের কোন কাজে লাগতেছে না, ঐ বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে টাকাওয়ালাদের জন্য। তেনাদের আইপিএস আছে, তারা আইপিএস চার্জ দিয়ে রাখে এই বাড়তি বিদ্যুৎ দিয়ে, তারা এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে রাখে, এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও সমস্যা হয় না। আর আমরা শুধু কষ্টই করে যাই। যেখানে যাই সেখানেই কষ্ট। রাস্তায় বেড় হলে জ্যামের মধ্যে পড়ে নিজের মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে, রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে যায়, কার উপর রাগ জানি না! গাড়ির ভাড়া! ইনকাম না বাড়লেই ভাড়া নিয়মিত বাড়ছে তো বাড়ছেই। শ্যাওড়াপাড়া থেকে নিউমার্কেট যাবো, ভাড়া ২০ টাকা, আর কোন উপায়ই নাই। এয়ারপোর্ট যাবো ভাড়া ৩০ টাকা। এখন এক টাকা দুই টাকার আর কোন মূল্য নাই, দোকানিরা আর এক টাকা ফিরোত দেয়না, তার পরিবর্তে একখান চকলেট ধরিয়ে দেয়।

বেঁচে থাকাটা এখন আমাদের কাছে অনেক কষ্টের, বিদেশ যাওয়ারও তো উপায় নাই, অত টাকাও নাই, আর চেষ্টা করতে গেলেও বহুত ফ্যাকড়া, যাইতেও ইচ্ছা করে না। নিজের দেশের মায়া ছাড়তে পারি না। খালি চিন্তা করি অবস্হার পরিবর্তন হবে, কিন্তু তা আর হয় না। বহুত ক্যারফার মধ্যে আছি। হতাশা আর হতাশা।

Leave a Comment