লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় যৌবনযাত্রায় 25-05-2009, একই শিরনামে। লিংক- বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্হাপত্য ও ভাস্কর্য
একজন আছেন পোস্টচোর, একান্ত কথা, উনি ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১০ সামহয়্যারইন ব্লগে হুবহু কপি পেস্ট করেন। লিংক- এখানে।
অপরাজেয় বাংলা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে নিবেদিত, এবং তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে চিত্রায়িত করা এই
ভাস্কর্যটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্হিত। এটি নির্মাণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।
১৯৭৩ সালে ভাস্কর্যটি তৈরি করা শুরু হয়। এর কাজ শেষ হয় ১৯৭৯ সালে। ৬ ফুট বেদীর উপর নির্মিত এরউচচতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
১৯৭৩ এ নির্মীত অপরাজেয় বাংলার মডেল ভাস্কর্যের ছবিএটি। এর উচ্চতা ছিল তিনফুট। পরবর্তীতে এই ভাস্কর্যটি অবলম্বনে চারগুন বড় একটি ভাস্কর্য তৈরী করেন শিল্পী ও তার দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন চত্তরে।
১৯৭৩ তে যখন স্বাধীনতা ভাষ্কর্যের প্রাথমিক কাজটি শেষ হয় তখন সেকাজটির ওপর ২২ জুলাই ১৯৭৩ এ একটি উপসম্পাদকীয় লিখেন সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী দৈনিক বাংলায়। শিরোনাম, ‘অপরাজয় বাংলা’। মজার ব্যাপর হলো সেই থেকে লোকমুখে মুখে শ্রুত হতে হতে স্বাধীনতার এই ভাষ্কর্যটির নাম অপরাজেয় বাংলা হয়ে যায়।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ
নারী মূর্তিটির মডেল হাসিনা আকতার।
অপরাজেয় বাংলার রাইফেল হাতে মূর্তির মডেল সৈয়দ হামিদ মকসুদ। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
অপরাজেয় বাংলার মাঝের মূর্তিটির মডেল বদরুল আলম বেনু। তিনি শুধু একজন মডেলই ছিলেন না ছিলেন সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের একান্ত সহযোদ্ধা। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯পর্যন্ত সকল চড়াই উৎরাইতে শিল্পী আবদুল্লাহ খালিদের সাথে যে দুইজন সর্বান্ত ভাবে জড়িত ছিলেন তার এক জন হলেন তৎকালিন চারুকলার ছাত্র বদরুল আলম বেনু আর অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঢাকসু’র সাংস্কৃতিক সম্পাদকম. হামিদ।
১৯৭৯ এ অপরাজেয় বাংলার নির্মান কাজ করছেন ভাষ্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ও বদরুল আলম বেনু
১৯৮৪ সালের একটি ছবি
Pingback: jfd98ayhcim