শহীদ মিনার
ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গনে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত।
ইতিহাস
১ম শহীদ মিনার
১৯৫২ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো কিছু স্কুল কলেজের ছাত্রদের সহায়তায় ১ম শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়।
সাঈদ হায়দার এর মূল পরিকল্পনা ও নকশাকারী।
কার্ফু চলাকালে ২২ শে ফেব্রুয়ারী মাঝরাতে মিনারটি তৈরির প্লান করা হয়, ছাত্রদের অনুরোধে পারূ সরদার সমস্ত খরচ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারী বিকালে কাজ শুরু হয় এবং মধ্যরাতে সম্পন্ন হয়।
মিনারটির নাম দেয়া হয় ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। এটি লম্বায় ছিল ১০ ফুট, চওরায় ৬ ফুট।
বাংলাদেশের ১ম শহীদ মিনার
এটি উদ্বোধন করেন শহীদ শফীউর রহমানের পিতা।
মাত্র ৩ দিন পরেই পাকিস্থানি বর্বররা এটি ধ্বংস করে ফেলেন।
২য় পর্যায়ে নির্মাণ
১৯৫৬ সালে হামিদুর রহমান নকশা প্রস্তুত করেন।
‘দুপাশে দুই পতিত সন্তানকে নিয়ে মা দন্ডায়মান’।
১৯৫৭ সালের নভেম্বরে হামিদুর রহমান ও নভেরা আহমেদ এর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৩ সালে কাজ মুটামুটিভাবে সম্পন্ন হয়।
১৯৬৩ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে এটি উদ্বোধন করেন শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম।
১৯৭১ সালে পাকিস্থানি বর্বররা এটি আবারো ধ্বংস করে ফেলেন।
বর্তমান শহীদ মিনার
হামিদুর রহমানের মূল নকশা একটু সংশধন করে ১৯৭৩ সালের ৫ ই মে কাজ শুরু করা হয়।
এরশাদ সরকারের সময় থেকে বর্তমান শহীদ মিনারের যাত্রা শুরু হয়।
দৈনিক প্রাইম খবর (http://www.primekhobor.com) এ দেখলাম ইন্টারনেটে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ওয়েবসাইট। সব-দেশে তার নাগরিকদের কাছে তাদের স্বাধীনতার ইতিহাস খুবই পরিষ্কার। তাদের স্বাধীনতা নিয়ে কোন ঘোলাটে ধারণাও নেই। আমরা এমন এক জাতি যারা আজও নিজেদের স্বাধীনতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। আমাদের নতুন প্রজন্মও স্বাধীনতা নিয়ে হতবিহম্বল। এত রক্তের বিনিময়ে যেই স্বাধীনতা তার কেন এতো শাখা-প্রশাখা। আমাদের নতুন প্রজন্ম জানে না আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, আমাদের ২৬ শে মার্চ এর ইতিহাস অথবা ১৬ ই ডিসেম্বের এর ইতিহাস। সরকার বদলের সাথেই বদলে যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বাংলাদেশ এর একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের আহবান, আমাদের আর বিভ্রান্ত না করে সকলের সাথে মিলে নিশ্চিত করুন আমাদের জানার অধিকার।