গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্হাপনা পরিচালক পদ থেকে মুহাম্মদ ইউনূস কে অপসারন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার সকালে মুহাম্মদ ইউনূসকে অপসারন করে বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৬০ বছর বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ইউনূস গ্রামীন ব্যাংকের এম ডি পদটি দখল করে রেখেছেন যা নীতিমালা বিরুদ্ধ।

মুহাম্মদ ইউনূসের বর্তমান বয়স প্রায় ৭০। ১৯৮৩ সাল প্রথম তিনি গ্রামীন ব্যাংকের ব্যবস্হাপনা পরিচালক পদটিতে অধিষ্ঠিত হন। মুহাম্মদ ইউনূসের বয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ হলেও গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে অনির্দিষ্ট মেয়াদে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল ছিলেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল থাকা আইনগতভাবে বৈধ নয়।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নরওয়ের টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফান্ডে বিপুল পরিমাণ তহবিল স্থানান্তরের অভিযোগ ওঠে। দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে ওই প্রামাণ্যচিত্র প্রচারের পর। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারদলীয় কয়েকজন নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউনূসের সমালোচনায় মুখর হন।
গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, মাইক্রো ক্রেডিটের জনক ও শান্তিতে নোবেল পাওয়া মোহাম্মদ ইউনূসকে এমনভাবে জোর করে অপসারন অবশ্যই কাম্য নয়। এ সন্মানিত ব্যাক্তিটাকে এমন জোর করে অপসারন করানো অত্যন্ত লজ্জ্বাজনক, সরকার চাইলে অন্যভাবেও হয়তো কাজটা করতে পারতেন। মুহাম্মদ ইউনূসকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া অযাচিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। সরকারের কাজকর্মে মনে হচ্ছে ইউনূসের চরিত্রহননের জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে!