বাংলা কবিতা

কবিতার ঈশ্বর

টলমল ক্রোমোজোমে ঝলসে ওঠে মানব-ঈশ্বর বিশ্বাসের ভীত গভীর হতে চলে আসে অগভীরে শাস্ত্রীয় বুলিতে শ্লেষের থুথু ঈশ্বর! স্বর্গ! পুনর্জন্ম! জিন থেরাপির প্রানীবীজে জন্মে ভিনদেশের মানবজীব জরায়ু, যোনি, স্তন আর রমনীয় বীভৎসতায় নিহত হয় মেধাবী ডীম্বাণু দৈবের পাখায় ভর দিয়ে চলে অসংখ্য শৃগাল কুকুর প্রেমের পচা মাংসের লোভে- নারী ওই বিষাক্ত নারী স্বর্গের নিচে নরকের ঠিকানা …

কবিতার ঈশ্বর Read More »

দুঃখরা ক্লিশে নয়

সাদামাটা হয়ে গেছে সব দুঃখ জল । আজকাল তা এক একটি মৃত মানবের জন্ম দেয় … অথবা এমন , যেন একটি দুই মিলিমিটার পরিধি বিশিষ্ট পাথরের আলোড়ন একটি  স্ফীত একশত পঁয়ষট্টি দশমিক দুই বর্গ কিলোমিটারের সমুদ্রজলে । “আমি কি করে বুঝবো? আশ্চর্য!” হ্যাঁ , তুমি অবশ্যই নিয়ে আসতে পারো  না-দংশানো আশীবিষের চিরায়ত উদাহরণ। না, তুমি …

দুঃখরা ক্লিশে নয় Read More »

মায়ের কথা

আজকের এ লেখা, চোখের ভেতর চোখকে দেখা মনকে পড়ি, ভালোবাসা গড়ি ধ্বনির গাড়ীতে শব্দে চড়ি। মা – কেবল তোর ভাষাতে – তোর কথাতেই বাংলা গড়ি, বলনা তোকে কত করে স্মরি! মা – কেবল তোর ভাষাতেই নকশীকাঁথা কুলার ভেতর লাল নীল রেখা মাটিতে মাটির আলপোনা আঁকি ৫২ তো – ভালোবেসেই ডাকি। তোর কথাতেই সিথিঁর সিঁদুর রক্ত …

মায়ের কথা Read More »

ভূতের ঘর

ভূতের ঘরে ভূত থাকে না ভূতের ঘরে আমিই থাকি। আবোল- তাবোল খেয়ে খুয়ে ঘরটা কেবল আমিই মাখি। আঁধার রাতে গাছের ডগায় ভূতের মত আমিই ডাকি। বাঁশের ঝাড়ে কবর পাড়ে ভূত আসে না আমিই আসি। নতুন কাপড়, হাড় হাড্ডি আমিই কুড়ে বাজারে বিকি। ভূতের মাংস ভূত খায় না ভূতের মাংস আমিই রাঁধি।

অন্যকিছু!

চেনা শরীর হঠাৎই অচেনা মনে হয়, রক্ত প্রবাহের গতিপথও যেন এলোমেলো, বিদ্যুতের মতো চমক দেয় এখানে সেখানে, আমি শক্ত হয়ে উঠি… হই অস্হিরও তখন কি কি যেন হয়, তা আর মনে থাকে না। তবে বেশ পরে ধীরে ধীরে…… কাতর ও দুর্বল হই।