মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর নিজেকে দমায়ে রাখতে পারলো না! যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর ইটালির সহায়তায় গতকালই লিবিয়ায় বিমান ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরু করে দিয়েছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত লিবিয়ার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মারা গেছে আনুমানিক ৬৪ জন।
লিবিয়া হামলার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এত আগ্রহ সন্দেহজনক। লিবিয়ার জনগনের প্রতি যেন দরদ উপচে পরছে! নো ফ্লাইং জোন আরোপ করে আলোচনার মাধ্যমে তারা প্রথমে সমাধানের চেষ্টা করতে পারতো। বেশিরভাগ দেশই গাদ্দাফির স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এবং লিবিয়ার সাধারন জনগনের পক্ষে থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমেরিকার অন্যকোন ভাবে সমাধানের চেষ্টা না করে তড়িঘড়ি করে হামলা শুরু করা, বিষয়া অন্যদিকে ইঙ্গিত দেয়। লিবিয়ার তেলের প্রতি লোভ যদি মূল উদ্দেশ্য হয় তাহলে লিবিয়ার জনগনের জন্য করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে। অচিরেই লিবিয়া, ইরাক আর আফগানিস্হানের অবস্হায় চলে যাবে। এর চাইতে কর্নেল গাদ্দাফির স্বৈরশাসনই বরং লিবিয়ার জন্য ভাল। চাইতে কোনভাবেই ভাল হবে না।
মায়ানমারের স্বৈরশাসনে তাদের কোন মাথা ব্যথা নাই, আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের কোন পদক্ষেপ নাই, ফিলিস্হিনি জনগনের প্রতি এমন নির্মমতায় তারা নিশ্চুপ। দেখা যাক পরিস্হিতি আসলে কি হয়! আমরা তো শুধু দর্শক! দেখি, বিশ্লেষণ করি আর আহা উহু করি, অন্য কিছু করার ক্ষমতা নাই। ভাগ্যিস আমাদের দেশে তেলের মতো কোন মূল্যবান সম্পদ নাই, তাহলে হয়তো অনেকদিন আগেই বাংলাদেশ ইরাক বা আফগানিস্হান হয়ে যেত!