এপর্যন্ত আমার দেখা সেরা মুভিগুলোর একটা লিস্ট দিলাম, সাথে ডাউনলোড লিংক।
রিভিউগুলো সব আমি নিজে লিখি নি, কিছু কপি-পেস্ট করা, এজন্য দুঃখিত।
১. আগোরা
ধর্ম আর বিজ্ঞানের সম্পর্ক সম্ভবত সবসময়ই সাংঘর্ষিক। যারা বিজ্ঞানকে বেছে নিয়েছেন তারা ধর্মকে পরিত্যাগ করেছেন, যারা ধর্মকে বেছে নিয়েছেন তারা পরিত্যাগ করেছেন বিজ্ঞানকে। ধর্ম ও বিজ্ঞানের এই দ্বন্দ্বে কে টিকে থাকবে তা নির্ভর করেছে ক্ষমতা কাদের হাতে তার উপর। একসময় ধর্ম পালনকারী অংশের কাছে ছিল এই ক্ষমতা, তারা অপব্যবহার করেছে তাদের ক্ষমতার, অন্যায় ভাবে দমন করেছে বিজ্ঞানচর্চাকারীদের। আবার বর্তমানে বিজ্ঞানচর্চাকারীদের হাতে ক্ষমতা আর তাই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বর্তমানেও। ধর্ম আর বিজ্ঞানের এই চিরন্তন দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে ‘আগোরা’ সিনেমায়।
ছবিটির মূল চরিত্র হাইপেশিয়া একজন দার্শনিক, একজন জ্যোতির্বিদ, একজন তরুনী। তার বাবা আলেক্সান্দ্রিয়া মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরীর প্রধান, আর হাইপেশিয়ার ছাত্ররা হলো সম্ভ্রান্ত বংশের যুবকরা, হাইপেশিয়া তাদের দর্শন শেখায়, জ্যোতির্বিদ্যা শেখায়। পৃথিবী গোল না চ্যাপ্টা, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, না সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে – এই সব চিন্তায় হাইপেশিয়া মগ্ন, আর তাই সে বিভেদ করে না তার ছাত্রদের মধ্যে কে পেগান কে খ্রীষ্টান, সে উপেক্ষা করে যায় তার ছাত্র অরিস্টিস এর প্রেমকে, কারণ তার বিশ্বাস, বিয়ে হয়তো তার বিজ্ঞানচর্চাকে বাধাগ্রস্থ করবে।
হাইপেশিয়া নামের এই নারী মহিয়সীর কোন কাজ বর্তমান পৃথিবীতে নেই। নেই লাইব্রেরী অব সেরাপিয়ামও, ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন এর ধ্বংশের পেছনে। তবে এ বাপারে সবাই একমত যে, ধর্মান্ধ খূষ্টান, ইহুদী ও পেগানদের পারস্পরিক সংঘর্ষই এর ধ্বংসের প্রধান কারণ। চতুর্থ শতাব্দীকে ফুটিয়ে তুলতে পরিচালক চেষ্টার ত্রুটি করেন নি, হয়তো এ কারণেই ছবিটির আকর্ষনীয়তা বেড়েছে বহুগুনে।
ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
২. The Shawshank Redemption (1994)
স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবৎজীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হল এন্ডি ডূফ্রেনকে । জেলখানায় এসে তার পরিচয় এবং বন্ধু্ত্ব হল রেড এর সাথে । অল্প দিনেই তিনি সবার মাঝে স্থান দখল করে নিলেন , নিজের মেধা দিয়ে । ব্যাঙ্কার ছিলেন , তাই এমনকি জেলার পর্যন্ত কর সঙ্ক্রান্ত সাহায্যের জন্য তার কাছে আসে । এদিকে নতুন এক কয়েদির মাধ্যমে অনেক বছর পর তিনি জানতে পারেন তিনি নির্দোশ ছিলেন । কিন্তু জেলার তাকে কোন ভাবে ছাড়তে দিতে রাজি নন । তখন তার একটাই কাজ, জেল থেকে পালানো ।
৩. The Good, the Bad and the Ugly (1966)

ক্লিন্ট ইস্টউডের ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক।
৪. Blood Diamond
সিয়েরা লিওন। এক হিরে চোরাকারবারীর সাথে পরিচয় হয় বিদ্রোহীদের আস্তানা হতে পলাতক এক লোকের । সে গৃহযুদ্ধে হারিয়েছে তার পরিবার। তার চোরাকারবারীর দরকার হিরে,যার সন্ধান কিনা পলাতক লোকটি ছাড়া কেউ জানে না।
৫. A Bronx Tale
বনক্স শহরের প্রভাবশালী মাফিয়া আর সৎ বাস ড্রাইভার-এর মধ্যে দ্বন্দ এবং তারই সাথে ড্রাইভারের ছেলের সাথে প্রেম গড়ে উঠে এক কালো মেয়ের…৫০ দশকের পটভূমিতে যখন সাদা কালো বর্ণবাদী দাঙা সর্বগ্রাসী তখন এই সম্পর্ক কাহীনিতে যোগ করে নতুন মাত্রা।
৬. Pulp Fiction (1994)

টারান্টিনোর মাস্টারপিস গুলোর অন্যতম….তার অন্য মুভির মতই দৃশ্য, ডায়ালগ এবং কাহিনী।
৭. Catch Me If You Can (2002)
মুভির কাহিনী গড়ে উঠে ফ্রাঙ্ক উইলিয়াম এবেগন্যালকে ( লিওনার্দ ডি ক্যাপ্রিয় ) নিয়ে যার বয়স এখনও উনিশ হয়নি । বাবা মার সাথে আনন্দেই ছিল , কিন্তু বাবা মার ডিভোর্সের পর বাড়িয়ে থেকে পালিয়ে যান । এর পর ইচ্ছে হল হয়ে যান বিমানের পাইলট ( অবশ্যই দুই নাম্বরী করে ) । কিছুদিন পর মনে হল ডাক্তারদের জীবন ভাল হয়ে গেলেন একজন ডাক্তার । তারপর প্রেমিকার বাবা ইচ্ছা তার মেয়েকে একজন ল’ইয়ারের সাথে বিয়ে দিবেন , তো হয়ে গেলেন একজন ল’ইয়ার । আর এসব কিছুর জন্য সার্টিফিকেট কোথায় পেলেন তাই তো ! কেন নকল সার্টিফিকেট বানানো কি খুব কঠিন ?? এই ছবি দেখলে কিন্তু তা মনে হবে না……।
শুধু কি তাই ব্যাঙ্ক থেকে তুল্লেন চার মিলিয়ন ডলার ( তাও নকল চেক দিয়ে ) ।
আর এই চোরকে ধরতে কার্ল হ্যানরেটি ( টম হ্যাঙ্কস ) এর জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠল । তাও কি তিনি পারেন এক বাচ্চা চোরের সাথে ।
আপতত এই কয়টাই, বাকিগুলো আরেকদিন। ধন্যবাদ।
একটা ছাড়া সবগুলোই দেখা। আগোরা মুভিটা অসাধারন, ধর্ম কিভাবে বিজ্ঞানকে পেছনে ঠেলে ছবিটা দেখলে বুঝা যায়। শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভিটাও দারুন। ধন্যবাদ লিংক গুলোর জন্য।
আগোরার কাহিনী সত্য ঘটনা নির্ভর, হাইপেশিয়ার পরিনতি দুঃখজনক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আগোরা বারবার দেখার মতো মুভি। ধর্মগুলো বিজ্ঞানকে নিরুৎসাহিত করে নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থে, নাহিদ ভাইয়ের সাথে একমত।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।