প্রথম আলো আর কালের কন্ঠ পত্রিকার রেশারেশি মনে হয় বাংলাদেশের পাবলিকরা খুব উপভোগ করছেন। বসুন্ধরা গ্রপ বনাম ট্রান্সকম গ্রুপ। আবেদ খান বনাম মতিউর রহমান।
তবে এমন কিছু একটা মনে হয় দরকার ছিল। তাদের ভাবের ঠেলায় আর টেকা যাচ্ছিল না। এমন ভাব যেন তাদের উপর দেশের রাজনীতি নির্ভর করে। কিছু হইলেই মতিউর রহমান বড় করে কলাম লেখেন। সেনা সমর্থিত তত্ববধায়ক সরকার আসার পিছনেও তাদের বড় ভূমিকা ছিল, তারা খুব চেষ্টা করেছিল দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিতারিত করার। মতিউর রহমান নাকি বামপন্থী রাজনীতির সাথে আগে জড়িত ছিলেন, ভাবতে অবাক লাগে উনি এখন পুঁজিবাদের দালাল। সবাইকে খুশি করার চেষ্টায় থাকেন। প্রথম আলো এখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। রক্তচোষা ইউনূসরে নিয়ে কি খেলাটাই না দেখাইলো! যতো কিছুই হোক তারা আছে ইউনূসের সাথে।
অনেকের হয়তো কার্টুনিষ্ট আরিফের কথা মনে আছে, প্রতিভাবান একজন কার্টুনিষ্ট ছিল। তার আঁকা একটা কার্টুনে মোল্লা সমাজের আতে ঘা লাগায় ও তারা প্রতিবাদমূখর হওয়ায় মতিউর রহমান নির্লজ্জ্বের মতো মোল্লাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং দুঃখের ব্যাপার হলো কার্টুনিষ্ট আরিফকে প্রথম আলো থেকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। আসলে পত্রিকাটির চরিত্র বুঝা বড় দায়, তারা মাঝে মাঝে সরকারের দালালি করে আবার মাঝে মাঝে মোল্লাদের দালালি করে, সেনাবাহিনীর দালালি করে, তবে সবার উপরে মাথায় তুলে রাখে দেশের সুশীল সমাজকে, আমেরিকার মতো পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোকে আর রক্তচোষা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিগুলোকে।
কালের কন্ঠ যে খুব একটা ভাল লাগে তাও না। তবে এটা ভেবে খুশি যে, এখন আর প্রথম আলোর একক আধিপত্য নাই, কালের কন্ঠ অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে। সম্পাদক আবেদ খানকে ভাল লাগে যদিও বসুন্ধরা আর তার মালিককে সহ্য হয় না।