জাপানে ৮.৯ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানার পর সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে জাপানের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ঊপকূলবর্তী বিভিন্ন জনপদ, মিয়াগি, ফুকুসিমা এবং বড় শহর, সেন্ডাই পানির তোড়ে ভেসে যায় ও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে কমপক্ষে ৩০০ জন নিহিত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল জাপানের পূর্ব উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। বিবিসিতে দেখলাম সুনামির পর পানির তোড়ে গাড়ি, ট্রাক, বাড়ি সহ অনেককিছু ভেসে যাচ্ছে। ভূমিকম্পের পর টোকিওতে ৪০ লাখ বাড়ির বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে কমপক্ষে ১৪টি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। টোকিওর চিবা তেল পরিশোধনাগারেও আগুন জ্বলছে।
ভূমিকম্পের পর জাপানের বেশ কিছু পরমাণু শক্তিকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ফুকুশিমির ১ নম্বর প্লান্টটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে সরকার প্ল্যান্টটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন কমপক্ষে একটি পরমাণুকেন্দ্র স্বাভাবিকভাবে চলছে। জাপানের কয়েকটি প্রধান তেল শোধনাগারও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান স্টিল প্ল্যান্টগুলোতে আগুন জ্বলছে।
বলা হয়েছে যে এই সুনামি ফিলিপাইন্স, ইন্দোনেশিয়া এবং রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। জাপানে আঘাত হানা সুনামির উচ্চতা ছিল প্রায় ১০ মিটার।
মানুষ প্রকৃতির কাছে এখনও কত অসহায়! প্রকৃতিকে পুরোপুরি জয় করা গেল না এখনও! তবুও এ ভূমিকম্প জাপানে হয়েছে বলে হতহতের সংখ্যা কম। চিন্তা করি, এ মাপের ভূমিকম্প যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে মনে হয় দেশের অর্ধেক লোক মরে ছাফ হয়ে যেত!
দুপুরে এক খবরে পড়লাম জাপানে সুনামির পর মৃত্যের সংখ্যা ১২০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। একটা পারমানবিক চুল্লি বিস্ফরিত হয়েছে, সেখানে আগুল জ্বলছে দাউ দাউ করে, তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে।
জাপান দ্রুত এই ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠুক এই কামনা করি।
১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে জাপানে মৃতের সংখ্যা, ভয়ংকর রকম খারাপ অবস্হা এখন জাপানে। আশা করি খুব দ্রুত ওরা পরিস্হিতি সামলে উঠবে। জাপানে অবস্হানরত বাংলাদেশীরা নিরাপদেই আছে বলে শুনেছি, এখন পর্যন্ত কোন খারাপ খবর পাওয়া যায় নি। বাংলাদেশ সরকার জাপানে একটি উদ্ধারকারী টিম পাঠাচ্ছে ডাক্তার সহ। সরকারের এই পদক্ষেপ ভাল লেগেছে।