ভন্ড আমিনী হরতাল ডেকেছে নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মওলানা ফজলুল হক আমিনী মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে সরকারের নারী উন্নয়ন নীতিমালার প্রতিবাদে ৪ঠা এপ্রিল হরতালের ডাক দেন।
আরো বেশ কয়েকটি ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ, খেলাফত মজলিস সরকারের নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলগুলোর দাবি, কোরআনের বিধান অনুযায়ী, সম্পত্তিতে একজন নারী পাবে পুরুষের অর্ধেক। এখন সরকার যদি নারীকে সমানাধিকার দেয়, তাহলে সেটা সরাসরি কোরআনের বিরোধিতা করা হয়।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী এ সময় বলেন, ‘বর্তমান সরকার কোরআন, আল্লাহ-রসুলকে চ্যালেঞ্জ করেছে। আমরা আল্লাহ-রসুলের পক্ষ থেকে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। আল্লাহর বিধান হচ্ছে, নারী পাবে পুরুষের অর্ধেক। এটাই যৌক্তিক। সরকার এই বিধান বদলাতে চাইলে প্রয়োজনে আমরা হরতাল দেব, অবরোধ করব। আমরা আওয়ামী লীগকে এ দেশের ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করব।’
গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক এই ইসলামী মধ্যযুগীয় দলগুলোর কারনে সরকার ভাল কোন উদ্দ্যোগ নিলেও প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়। এই ইসলামী দলগুলো আবার বিএনপির শরীক। বাংলাদেশের এই ধর্মীয় দলগুলোর কারনে বিভিন্ন সময় অনেক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা যায় নি।
সংবাদ সম্মেলনে চারদলীয় জোটের শরিক মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, সরকার নারী উন্নয়ননীতিতে নারীদের সম্পদে সমান অধিকার দেওয়ার যে নীতি গ্রহণ করেছে, সেটা কোরআনবিরোধী। কোরআনবিরোধী কোনো কিছু তাঁরা মেনে নেবেন না।
এই ব্যাক্কলগুলোর চিল্লাচিল্লি আমলে নেওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না। এদের গুরুত্ব দিলেই বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এদের কাজকর্ম, কথাবার্তা দেখলে এখন হাসি পায়। ধর্মভিত্তিক দলগুলো নানা সময়ে বলেছে, নারি নেতৃত্ব হারাম। এমনটি হলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নেতা মেনে তাঁর সঙ্গে জোট করছেন কীভাবে—জানতে চাইলে মুফতি আমিনী বলেন, ‘এই প্রশ্নটা এইখানে না, রাজনৈতিক মিটিংয়ে কইরেন।’ ……খিক..খিক…খিক।

1 thought on “ভন্ড আমিনী হরতাল ডেকেছে নারী উন্নয়ন নীতিমালার বিরুদ্ধে”

Leave a Comment