অজানিতা

বন্ধু আমার-
তোমায় বোঝার শেষ হলনা তবু।
বিধাতাই তোমায় বুঝতে পারেনি, সব!
নারী- আমি বামন ধুলিন ধরার,
চন্দ্রমুখী বুঝতে তোমায় পারব কি আর কভু?
আমি মেঘে ছায়ায় ধুলিকণা হয়ে
তোমার তন্বী দেহে
বৃষ্টিধারা হয়ে মিশেছি শুক্রে শোণিত স্নেহে।
আমি তোমার ঠোটে জমে একবিন্দু জল
খরতাপে দেখেছি তোমার সাহারার মরুতল।
তবু সম্পূর্ণ হয়নি তোমায় বোঝা
সত্যিই সাধ্যাতীত নারীর মনের তল খোজা
আমি জোনাক বাতি হয়েছি তোমার অমাবস্যার রাতে
চন্দ্রালোকে ঢেলেছি জোস্না তোমার গায়ে
মিশে চাদের মায়ার সাথে।
আমি হিমেল হাওয়ায় হিম হয়ে এসে
তোমার উঞ্চ বুকে
জাগিয়েছি কাপন কত-শতবার প্রিয়
তোমার সুখে দুখে।
তবুও আজও পাইনি খুজে মনের কিনারা
বুঝতে তোমায় সম্পূর্ণ জনম হল সারা
আমি দুঃখ হয়ে তোমার বুকে জমেছি এসে কত
তোমার কান্নার জলে মিশেছি অবিরত।
তোমার বুকের পাথর চাপায়-
দীর্ঘশ্বাস হয়েছি কতবার
তোমার নির্ঘুম রাতে ভাবনা হয়ে এসেছি বেদনার!
তবু হায় প্রিয়তমা তোমার মনের পাইনি হাল-
সম্পূর্ণ বুঝতে তোমায় যাবে মোর চিরকাল।
আমি তোমার হাসিতে মিশে অহর্নিশ
খোজ করেছি তোমার মনের সুখের গহ্বর,
আমি হয়ে তোমার হৃদয়ের কলঙ্কের বিষ
দেখতে কত চেয়েছি তোমার দুখের কোনট দ্বার?
তোমার প্রতি অঙ্গ মাঝে-
তোমার সকল রঙ্গ লাজে,
মিশে কত যে ক্ষণ কাটিয়েছি অণে¦ষণে
তবু পূর্ণ হয়নি জানা, কি রয়েছে তোমার মনে।
আজও তোমায় ঘিরে আবর্তিত দিন কেটে যায় মোর
তোমায় ভেবে রাত্রি আসে, রাত্রি হয় ভোর!
তোমার সাধনায় ব্যতিব্যস্ত অহর্নিশ এ চিত্ত
তোমারে পূজায় মদমত্ত আমি
তুমি হয়েছ মোর অস্তিত্ত্ব!
যা কিছু মোর মান অভিমান বিশ্বাস ভালবাসা
বুকের গহীনে চাপা দেয়া দীর্ঘশ্বাস হতাশা
সকলি তোমার তরে-
তোমায় ভালবেসে বন্ধু আমার হৃদয় জোয়ার-ভাটায় গড়ে
আমার সকল কাব্য কথার সকল সুরে গীতে
বুঝতে তোমায় চেয়েছি গো অজস্র দিন রাতে।
মহারাণী ওগো-
নিত্য যদিও আমার স্বপ্নে ঘুমাও, তুমি জাগো।
তবুও সম্পূর্ণ তোমায় কভু বুঝতে নাহি পারি!
প্রিয়তমাসু তুমি বিধাতার ভুল!
তুমি নারী!!

১৫.৮.২.১১ইং
ঢাকা।

Leave a Comment