হেফাজতে ইসলামীর বীর আন্দোলনকারীদের জন্য একটি উত্তম প্রস্তাব

হেফাজতে ইসলামীর বীর আন্দোলনকারীদের জন্য একটি উত্তম প্রস্তাব – আপনারা বাংলাদেশের আইন পরিবর্তনের আন্দোলন বাদ দিয়া বরং সৌদিআরব আর পাকিস্হান যাওয়ার আন্দোলনে নামেন। সাধারন জনগন আপনাদের সাপোর্টে থাকবে। ওই দাবী নিয়া লংমার্চ করেন, আমাদেরও সাথে পাবেন। হরতাল দেন, আমাদের রাস্তায় পাবেন। স্লোগান দেন, আপনাদের পক্ষে আমরাও গলা মেলাই, “এক দফা এক দাবী সৌদিআরব পাকিস্হান কবে পাঠাবি।“

যে আইনগুলোর স্বপ্ন দেখতেছেন, বাংলাদেশে কোনদিনই পাইবেন না। সৌদিআরব পাকিস্হানে রেডিমেড আছে, বেশি বেশি কাডাল পাতা খাবেন আর আইন মাইনা চলবেন। সৌদিতে কাডাল পাতার অভাবে কষ্টে যাতে না থাকেন এজন্য প্রয়োজনে সমস্ত কাডাল গাছ সাবার করে আপনাদের পাতা দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাডালের বিচিও সাথে দেওয়া হবে।

এই দেশের শিক্ষানীতি আপনাদের সহায়ক না, আরবী শিক্ষা বাধ্যতামূলক না, সৌরজগৎ, মহাকাশ, বিবর্তন …কি কি সব নাক্তিক্যবাদী বালছালে বই পুস্তক ভরপুর। এইসব পইড়া পোলাপানের ঈমান নষ্ট হইতেছে।

এই দেশে নারী পুরুষ একসাথে রিকশায় ঘোরে, পার্কে বসে ডেটিং মারে, শালার দেশটাও চালায় নারীরা। নারীর কথায় উঠতে হয় বসতে হয়। আমরা বুঝি এতে আপনারা বড়ই অপমানিত বোধ করেন, আপনাদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

সংবিধানে আরবী নাই, নাইনটি পারসেন্ট মুসলমানের দেশ তারপরেও নাকি ধর্ম নিরপেক্ষ। ইসলামী আইনের কোন স্হান নাই। চুরি করলে হাত কাটা হয় না, জেনা করলে মাইয়ারে পাথর ছুইড়া মারা হয় না, নাস্তিকরা অবাধে ঘুইরা বেড়াই, তাদের কল্লা কাটা হয় না। কি নাফরমানী সংবিধান আর আইন!

মূর্তিতে দেশটা ভইরা যাইতেছে, জায়গায় জায়গায় শহীদ মিনার আর মূর্তি, মানুষজন আবার ফুল দিয়া পূজা করতেছে। দিন দিন দেশটা মালাউনের দেশ হয়ে যাইতেছে।

১লা ফাল্গুন, ১লা বৈশাখের মতো হিন্দু সংষ্কৃতি, মোমবাতি, মশাল জ্বালাইয়া বিজাতীয় সংষ্কৃতি দিয়া দেশটা ভইরা গেছে।

দাড়ি টুপি থাকলে মানুষ জঙ্গী বইলা সন্দেহ করে, মাইয়ারা বোরকা পড়লে খারাপ কিছু ভাবে, মাদ্রাসা নিয়া টিটকারী করে।

আসলে দেশটা আর আপনাদের বসবাসের উপযুক্ত নাই। আপনারা নারী নেতৃত্ব বিরোধী হইয়া সেই নারীর কাছেই আইন আর সংবিধান সংশোধনের দাবী জানাইতেছেন। এইডা আপনাদের জন্যেও অপমানজনক। সুতরাং ঈমান ঠিক রাখতে হইলে, পরিপূর্ণ ইসলামী আইন চাইলে দ্রুত অন্য সকল দাবী পরিহার করে সরকারের কাছে দাবী তুলুন যেন আপনাদের ইসলামের রক্ষাকর্তা পাকিস্হান আর সৌদিআরবে পাঠানোর ব্যবস্হা করে। ঈমানে কইলাম নাস্তিকরাও আপনাদের পক্ষে মাঠে থাকবে।

2 thoughts on “হেফাজতে ইসলামীর বীর আন্দোলনকারীদের জন্য একটি উত্তম প্রস্তাব”

  1. They will never go to Saudi Arabia or Pakistan. They know that they will not be accepted there and will be kicked out. So the easy way for them is to try for converting Bangladesh into Saudi Arabia or Pakistan. These two countries are obviously giving supports to this Bangladeshi group to bring instability. One other point. Why the rich Saudi Arabia is not donating millions of dollars to Islamic Bangladesh for food, cloth, shelter and monthly allowance to poor Bangladeshi as Zakat? Any answer?

  2. সৌদি-আরবের অবস্থান কিছুদিন আগেই দেখা গেছে যখন ওই কয়েকজন বাংলাদেশীকে নিয়ে সৌদি সরকার খেলা দেখিয়ে দিল।তখন কই ছিল হেফাজতীরা?
    আর পাকিস্তানের কথা নাই বলি।ওইটা এমন একটা দেশ যেটা চলে আমেরিকার উপর ভরষা করে।

Leave a Comment