নার্ভলেস

কিছুই আর স্পর্শ করেনা তোমাকে ।

 কি ভয়ংকর নিঃস্পৃহ তুমি ।

কি আশ্চর্য শীতল ।

 সাপ ও পিছিয়ে থাকে …

মৃতের অনুভূতি বুঝি এমনই হয় ।

সারা গায়ে লাশের গন্ধ ঢেলে তুমি বসেই থাক ;

 বসেই থাক ।

কেটে যায় ঊষার পর ঊষা ,

গোধূলির পর গোধূলি ,

জোছনার পর জোছনা ।

তোমাকে ঘিরে জাল বুনে মাকড়সারা , একটি …

তারপর আরেকটি , তারপর আরেকটি …

চোখও তুলে তাকাও না তুমি ,

 তাকানো যেন এক আটলান্টিকের তলদেশ হতে ক্রমাগত জলরাশি সরিয়ে ভেসে ওঠা ।

 ডুবেই যেতে থাক।

তুমি নৈশব্দ ।

আর তোমাকে অতিক্রম করে অজস্র তরঙ্গোচ্ছ্বাস ।

 তোমাকে ঘিরে থাকে অসংখ্য কুকুর ।

সবগুলো ঘেউ ঘেউ করে যায়!

এই একটাই শুধু মিল এদের! কি আশ্চর্য!

একদিন তুমিও হাসিতে ফেটে পড়তে!

কি আশ্চর্য! একদিন তুমিও কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে !

তুমিও!

 কি করে এমন হলে তুমি!

একদিন ক্ষত হতে রক্ত গড়াতো তোমারও ।

 কতোটা রক্ত গড়িয়ে পড়লে আর গড়িয়ে পড়েনা?

 কতোটা দুঃখ জল ঝরে পড়লে আর ঝরে পড়েনা?

 কতোটা হাসি শেষ হলে ক্লান্তি ঢেকে দেয়?

3 thoughts on “নার্ভলেস”

  1. শ্যামা

    অনেকেই বলেন, তীব্র আবেগ, অনুভূতি না থাকলে নাকি ভাল কবি হওয়া যায় না। আবার এও শুনি, ছ্যাঁকা খাইলে নাকি কবিদের ভিতর থেকে সুন্দর সুন্দর লাইন বের হয়।

    আপনিও নিশ্চয় তীব্র অভিমানী, আবেগী; নাহলে এত চমৎকার লাইনগুলো লিখবেন কেমনে।

    লিনা, আপনি ভাল কবি।

Leave a Comment