সন্ত্রাসী পুলিশের মানুষ হত্যার নতুন কৌশল

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলো বাংলাদেশ পুলিশ। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রক্ষিতে এ কথা বলা ছাড়া আর উপায় নাই। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের হাতে পরলে এখন জীবন বিপন্ন। জুলাইয়ের ২৭ তারিখে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মিলন হত্যাকান্ডের একটি ভিডিও আজকে প্রকাশ পেয়েছে। পুলিশের সহযোগীতায় গনপিটুনির মাধ্যমে মিলনকে হত্যা করা হয়।

পুরো হত্যাকান্ডটি ভিডিও করে রাখে যে কেউ। ভিডিওটি এখন ঐ এলাকার অনেকের মোবাইল ফোনে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ভ্যান থেকে একজন মিলনকে নামায়, তারপর তাকে ডাকাত পরিচয় দিয়ে কিছু মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারা মিলনকে পিটাতে থাকে। মিলন এক পর্যায়ে দোকানে ছুটে যায়, কিন্তু তাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করে নি। দোকানের সামনে একজন কালো প্যান্ট আর সাদা সার্ট পরিহিত যুবক মিলনকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে, সে পরে গেলে আরো কয়েকজন মিলে তাকে পিটাইতে থাকে আর ইট দিয়ে মাথায় আঘার করতে থাকে যতক্ষণ না মৃত্যু নিশ্চিত হয়। মারা যাওয়ার পর মিলনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। কৌশলে গনপিটুনির মাধ্যমে মিলনকে হত্যা করিয়ে পুলিশ তার লাশ নিয়ে চলে যায়। সেইদিন কোম্পানীগঞ্জে গনপিটুনিতে ৬ টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মিলনকে হত্যা করা হয় সকাল দশটার দিকে, তার আগে ভোরের দিকে এই টেকেরবাজার মোড়েই আরো দুজনকে হত্যা করা হয়।

পাশের গ্রামে দুঃসম্পর্কের এক চাচাতো বোনের সাথে দেখা করতে যায় মিলন, পুকুর পাড়ে মেয়েটির আসার অপেক্ষায় একা একা বসে ছিল সে। গ্রামের কিছু মানুষ তাকে সন্দেহ করে এবং মারধোর করে, এরপর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে নিয়ে থানায় না গিয়ে টেকেরবাজার মোড়ে এসে অন্যদের হাতে তুলে দেয়।

বাংলাদেশের এই পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের এখন ঘৃণা জন্মে গেছে। পুলিশ এখন আর মানুষের বন্ধু না, ওরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী – সরকারী পৃষ্টপোষকতায়।

মিলনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে অন্যদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে

মিলনকে গনপিটুনির জন্য পাবলিকের হাতে তুলে দেয় পুলিশ

পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় মিলনকে হত্যা করার পর

2 thoughts on “সন্ত্রাসী পুলিশের মানুষ হত্যার নতুন কৌশল”

  1. “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলো বাংলাদেশ পুলিশ। ” সহমত ।আমার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের জন্য ধার নিলাম ।

Leave a Comment