সীমান্তে মর্মান্তিকভাবে বিএসএফ কতৃক হত্যা করা হয় ফেনালীকে। নিচের ছবিগুলো দেখুন সহ্য করার মতো নয়।
সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার শুরু করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ও লাশ নিয়ে যায়। পরদিন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
এঘটনার রেশ শেষ হতে না হতেই শাহজাহান আলি নামের আরেকজন বাংলাদেশিকে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করেছে বিএস এফ।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে অন্তত ৭৪ জন বাংলাদেশি নাগারিক নিহত ও ৭২ জন আহত এবং ৪৩ জনকে অপহরণ হয়েছে।
ফেনালীকে নিয়ে রাজনীতিও কম চলছে না! রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বর্থ রক্ষার জন্য ফেনালীকে নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছে। ব্যাপারটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সকলেই এক মঞ্চে দাড়িয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডগুলির প্রতিবাদই কাম্য ছিল। কিন্তু কখনই তারা তা করবে না। বিরোধীদলগুলো মনে হয় এক একটা হত্যার জন্য উম্মুখ হয়ে বসে থাকে। আর সরকারি দল ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
রাজনৈতিক দলগুলোর দরকার নাই। আমরা সাধারণ মানুষ ২১ তারিখ বিকাল ৩.৩০ মিনিটে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবো এবং সীমান্ত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। ২১তারিখের মানববন্ধন সফল করার উদ্দেশ্যে সকল বাংলা ব্লগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সবাই উপস্হিতি কাম্য।
২১ তারিখে অবশ্যই উপস্হিত থাকবো।