বাতাসে মৃতের গন্ধ, স্টেজে শীলার ছন্দ!

ভারী হয়ে আসে নিশ্বাস
কিছু মরেছে কি আশে পাশে?

হাওয়ায় জাফরানী রঙ মেখে উড়ে যায় ভুবন চিল
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার ধরা পড়ে একটি ইঁদুর,
একটি?
নাকি দুইটি ইঁদুর?
দাঁতের ক্রমশঃ বৃদ্ধিতে কাঁটাতারে শান দিচ্ছেন মহারাজ
গোলাঘরে আজ ভুরিভোজ হবে নিশ্চয়!

আচ্ছা, বাতাসে ঘোলাটে গন্ধ ক্যানো!
কিছু মরেছে কি আশ পাশে?

গোলাঘরে নেই ধান,
নেই ফসলের পোয়াতী দেহের মধুর ভার
কৃষকেরা তাই গোলাঘর থেকে মাঠে ছোটে
ছোটে আকাশের পথ ধরে চাঁদের পানে
ছোটে স্বপ্নের দিকে, আকাঙ্খার দিকে-
যা, গোলাঘর কোনদিন তাকে দিতে পারেনি।
পিছে ছোটে দুরন্ত সাহস এক,
ঘুরন্ত ঘাঘরায় ওঠে দোল
বাতাসে ওঠে ঢেউ, ফত ফত করে উড়ন্ত ওড়না
ছুঁতে পারেনি কেউ!

উহ!

আচ্ছা, চারিদিকে এতো আর্তনাদ ক্যানো!
মরেছে কি কেউ?

ছুতোরের নিপুন ছন্দে পাথরের দেহ কুঁদে
চলে ইঁদুর ভোজ।
আহা!
জীবিত ছিলো নাকি?

‘মাই নেম ইজ খান
শীলার মদির ‘বাঁক’ দেখে করি
ফেলানীর রক্ত পান!’

গোলাঘরে বেজে ওঠে মন্দিরা, বাঁজে বাশি
আরো কত কি যে!
স্পিনারের ঘুরন্ত আলোয় ঝলসে ওঠে ‘বাঁক’
কৃষকেরা ভুলে যায় পায়ের তলার দাগ
শীর্ণ হাতে তালি মেরে বলে-
“মারহাবা মেরি জান
ছাগু, পাকি, বাম, ভাদা সাব
যওয়ানী পে কুরবান!”

4 thoughts on “বাতাসে মৃতের গন্ধ, স্টেজে শীলার ছন্দ!”

  1. দারুন একখান কবিতা হইছে মামা। এই ব্লগে শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা।

    বাসায় টিভি নাই তাই গতকালের অনুষ্ঠান দেখার দূর্ভাগ্য হয়নি। অনুষ্ঠান নাকি চরম ভূয়া হইছে, শুইনা বেশ ভাল লাগছে।

  2. ভাষার মাসে এমন একটা অনুষ্ঠানের অয়োজনে সমর্থন দিয়ে সরকার মূলতো বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কুলষিত করলো। ভাষার মাসে শীলা আর বিজয়ের মাসে এসেছিল খান। কিছু বাঙালিও এমন, এই অনুষ্ঠানগুলো দেখার জন্য মনে হয় মরিয়া, শাররুখ, শীলাতে পাগল। হিন্দি সংস্কৃতি আস্তে আস্তে সর্বক্ষেত্রে গ্রাস করছে বাংলাদেশকে, আর সরকার এটা প্রসারে সাহায্য করতেছে ইন্ডিয়াকে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি কবিতার জন্য।

  3. ‘মাই নেম ইজ খান
    শীলার মদির ‘বাঁক’ দেখে করি
    ফেলানীর রক্ত পান!

    চরম সত্যি কথা লিখছেন ভাই। কবিতা ভাল লাগছে।

Leave a Comment